ডিটেনশন সেন্টার থেকে ইমিগ্র্যান্টের মৃতদেহ উদ্ধার

লন্ডনবিডিনিউজ২৪: বাংলাদেশী বন্ধী রুবেলের মৃত্যুর রহস্য এখনো উদঘাটন হয়নি। এরই মধ্যে হোম অফিসের ডিটেনশন সেন্টার থেকে আরেক ইমিগ্র্যান্টের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বুধবার। কোলনব্রোক ডিটেনশন সেন্টার থেকে একজন বন্ধীর মৃত্যুর বিষয়টি হোম অফিস থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। একটি সূত্র জানিয়েছে, ডিটেনশন সেন্টারে বিক্ষোব্ধ ইমিগ্র্যান্টরা আত্মহত্যার মতো কঠিন কোনো কিছু করে থাকতে পারেন বলে কড়া সতর্কতা ও পাহারার মধ্যেই কোলনব্রোক ডিটেনশন সেন্টারের একটি নির্ধারিত রুমে একজন বন্ধীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন বলেই স্টাফরা ইমেইল নিশ্চিত করেছে। তবে মৃত্যুবরণকারী বন্ধীর নাম, পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
উল্লেখ্য ২০১৪ সালের আগস্টে ২৬ বছর বয়সী বাংলাদেশী স্টুডেন্ট রুবেল আহমদ মার্টন হল ইমিগ্রেশন সেন্টারে মৃত্যুবরণ করেন। রুবেল আহমদ মৃত্যুর আগে বুকে ব্যাথায় চিৎকার করে সহযোগিতা চেয়েও পাননি বলে অভিযোগ করেছেন তার পাশের রুমে থাকা বন্ধীরা। অন্যদিকে রুবেলের মৃত্যুর কারণ উদঘাটন করতে তার পরিবারের পক্ষ থেকেও জোড় দাবী জানানো হয়। যদি হোম অফিস থেকে রুবেলের মৃত্যুর পূর্ণ ময়নাতদন্ত দিয়েছে হোম অফিস। কিন্ত তার পরিবারের পক্ষ থেকে সেই ময়নাতদন্ত প্রত্যাখ্যান করে রুবেলের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে হোম অফিসের প্রতি আবেদন জানান।
বুধবার ভোরে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। এই সেন্টারে ৪০০জন ইমিগ্রেন্ট রয়েছেন। এই হাই সিকিউরিটি সেন্টারটি প্রিজনের এই স্টেন্ডাডে তৈরী করা হয়েছে। সূত্র অনুযায়ী নিহত ব্যক্তির ২৪ ঘন্টা সুইসাইড ওয়াচে ছিলেন। এই রিমোভাল সেন্টারে যাদেরকে রাখা হয় তাদের সকলকে নিজ দেশে পাঠানোর জন্যই রাখা হয়। ক্লোনব্রুকে আগে সারকো কোম্পানী নিরাপত্তা দিত। ২০১৪ সাল থেকে মিটি কোম্পানী এর নিরাপত্তা দেয়। এই সেন্টারে প্রায়ই বন্ধীরা মারামারি করে।
0 Comments
Add new comment